জাম্বো জিলিপি আর ভাদু গান মিলেমিশে একাকার উৎসবের আঙিনায়

18th September 2020 10:33 am বাঁকুড়া
জাম্বো জিলিপি আর ভাদু গান মিলেমিশে একাকার উৎসবের আঙিনায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : এক-একটা জিলিপির ওজন ২.৫ কেজি থেকে ৩ কেজি। এটা একটা অবাক হওয়ার কান্ড। তবে জেনে রাখুন এরকম জিলিপি তৈরি হয় বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়া তে। বছরে একবারই মাত্র দেখা মেলে এই জিলিপির ।  আর এই জিলিপি নিতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি চলে বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুরা তে। ভেবেছেন কি কখনো যে একটি জিলিপির দাম ৫০০ টাকা হতে পারে । হ্যাঁ এটাই সত্যি। এই জিলিপি র নাম জাম্বো জিলিপি। প্রত্যেক বছর ভাদ্র মাসের সংক্রান্তি তে বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুরা এই জিলিপি তৈরি করেন মিষ্টি বিক্রেতারা। এই জিলিপির শুরু কবে কেউ জানে না। একসময়ের রাঢ় বাঁকুড়ায় ভাদ্র সংক্রান্তি উপলক্ষে হত ভাদু পূজা। অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল এই লোক উৎসব। লোকের বাড়িতে ভাদু সাজিয়ে রাতভর নাচে গানে হত ভাদুর জাগরণ। এই ভাদুর প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হতো জিলিপি ও খাজা। ভাদু প্রতিমার সামনে রাখা সেই জিলিপির আকার ও খাজার পরিমাণ নিয়ে প্রতিবেশী বাড়ির ভাদুর সাথে চলত প্রতিযোগিতা। সময় বদলেছে গতির যুগে বিপন্ন হতে হতে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে জনপ্রিয় উৎসব ভাদু পূজা। কিন্তু বন্ধ হয়নি কেঞ্জাকুরা জাম্বো জিলাপির তৈরীর রেওয়াজ।  কেঞ্জাকুরা প্রতিটি দোকানে জাম্বু জিলিপি ব্যস্ততা তুঙ্গে। ভাদু পূজা সেইভাবে না থাকলেও দূরদূরান্ত থেকে মানুষ নিজের কৌতূহল মেটাতে রসনা তৃপ্তির উদ্দেশ্যে কিনে নিয়ে যায় এই জিলিপি। স্থানীয়রা জানান আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতেও উপহার দিতে এই জিলিপি বেশ ভালো লাগে। করোনা আবহে চলতি বছর টাকার টান থাকলেও স্থানীয় মিষ্টি বিক্রেতাদের মধ্যে কিন্তু ততটাই ব্যস্ততা দেখা গেছে। বছরে একবার এই জিলিপি এর স্বাদ পেতে পিছিয়ে নেই কিন্তু ক্রেতারাও।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।